ছাত্র-জনতা গণঅভু্যত্থান

গুলিবিদ্ধ দিনমজুর জাহাঙ্গীরের মানবেতর জীবনযাপন

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার হিড়িমদিয়া গ্রামের খয়মুদ্দিন মন্ডলের ছেলে দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিত্রাণ পেতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তাসহ মানবিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ভেড়ামারা চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনজুর আহম্মেদ ভুট্টো বলেন, গত ১৯ জুলাই দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার শাহাজাদপুর খিলবাড়ীর বাসায় বসে শুনতে পান গোলাগুলির আওয়াজ। তিনি ঘরে বসে না থেকে ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়াতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। চলে যান ভাটারা থানার আমেরিকান অ্যাম্বাসির পাশের রাস্তায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিবিদ্ধ হয় এক রিকশাচালক। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় জাহাঙ্গীর আলম। তখন বামপায়ে গুলিবিদ্ধ হন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে এবং জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি বারিধারা উপশম হাসপাতালে মেঝেতে শুয়ে আছেন। তাকে নিয়ে একদল ছাত্র দৌড়াদৌড়ি করছে। নিয়ে যেতে হবে কুর্মিটোলা হাসপাতালে। কিন্তু পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, ছাত্ররা কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। নামমাত্র ডাক্তারের সহযোগিতায় দুদিন চিকিৎসা নিয়ে চলে আসে দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার হিড়িমদিয়া গ্রামে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের মানবতার ডাক্তার লতিফুল কবির লিমন বলেন, স্থানীয় পলস্নীচিকিৎসক ডা. মাহবুব আফাজ ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনজুর আহম্মেদ ভুট্টোর সহযোগিতায় জাহাঙ্গীর আলমকে ভর্তি করা হয় ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে। টানা ৫ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়ি ফিরে যান জাহাঙ্গীর আলম। যথোপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় গুলি লাগা পায়ে পচন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসা করার প্রয়োজন। পলস্নী চিকিৎসক ডা. মাহবুব আফাজ বলেন, উন্নত চিকিৎসা ও গুলি লাগা পায়ের ঘা না শুকালে একমাত্র উপার্জনক্ষম জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারে নেমে আসে তীব্র দীন্যতা। এখনো পর্যন্ত কোনো মানবিক সংগঠন ও সরকারি কোনো আর্থিক সহযোগিতা পায়নি আন্দোলনের এই দিন মজুর এই সৈনিক।