শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় কচু ব্যতীত আগাম শীতকালীন সবজি বাইরের জেলা থেকে আমদানি করে জনসাধারণের চাহিদা মেটাচ্ছে পাইকাররা। ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সবজির আবাদের জন্যে বিখ্যাত হলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতার অভাবে সবজির আবাদ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। উপজেলায় যে পরিমাণ সবজির আবাদ হয় তা দিয়ে ঝিনাইগাতীর জনসাধারণের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।
পাইকাররা শেরপুর চর অঞ্চল ও জামালপুর জেলা সদর থেকে করলা, পটল, শসা, বেগুন, চাল কুমড়াসহ অন্যান্য সবজি ক্রয় করে বাজারে বিকিকিনি করে চাহিদা মেটাচ্ছেন। ঝিনাইগাতীতে বাণিজ্যিকভাবে কিছু আবাদ হলেও তা বাইরের জেলা থেকে বেশি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। কিছু কৃষক নিজস্ব সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্যে আবাদ করলেও তা অপ্রতুল। উপজেলার কৃষকরা দিন দিন সবজির আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ফলে বাজারে আমদানি কম ও সবজির মূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
কচু আবাদের কৃষক ঘাগড়া নিবাসী আবুল কাশেম বলেন, 'আমি ১৫ শতাংশে কচুর আবাদ করেছি। বাজারে মূল্য কম থাকায় লোকসান হতে পারে। কৃষি অফিসের কোনো সহযোগিতা পাইনি।'
দুলাল মিয়া জানান, সবজির উৎপাদন খরচবাদে কৃষকরা বাজারে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। কৃষিবিদরা মনে করে স্থানীয়ভাবে সবজির আবাদ বৃদ্ধি ও কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে দাম নাগালের মধ্যে থাকবে তেমনি বাইরে থেকে আমদানি করতে হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, উপজেলার নলকুড়া, কাংশা গৌরিপুর ইউনিয়নে সবজির আবাদটা বেশি হয়ে থাকে। তা দিয়ে পুরো উপজেলায় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। সবজি আবাদ করতে ইচ্ছুক কৃষকরা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে।