টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ২২৬টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা পস্নাবিত হয়েছে। এতে ছোট বড় মিলিয়ে ১২ হাজার ৫৩০টি ঘের এবং পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলাকে বলা হয় মাছের স্বর্গরাজ্য। খুলনায় মাছের চাহিদার একটা বৃহৎ অংশ পূরণ হয় ডুমুরিয়ায় উৎপাদিত মাছ থেকে। উপজেলায় মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে ২৮ হাজার ৫৭৪ মাছ চাষি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে ২৬ হাজার ৫৭০টি মাছের ঘের এবং ৫ হাজার ৬৩০ টি পুকুর রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক জানান, কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে পস্নাবিত হয়েছে। ছোট বড় সব মিলিয়ে ১২ হাজার ৫৩০টি ঘের এবং পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব ঘের এবং পুকুর থেকে তিন হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন সাদা মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাত কোটি ১২ লাখ টাকা। চিংড়ি ভেসে গেছে চার হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য বাজার মূল্য ৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কাঁকড়া ভেসে গেছে সাড়ে সাত মেট্রিক টন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।
এছাড়াও ডুমুরিয়া উপজেলায় বন্যায় মৎস্য খাতের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হযেছে। আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। তিনি বলেন, 'প্রথম ধাপে আমরা যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি সব মিলিয়ে আমাদের উপজেলায় মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬০ কোটি সাত লাখ টাকা হবে।'
সিনিয়র মৎস্য অফিসার আরও বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ডুমুরিয়া উপজেলায় মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তখনও কয়েক হাজার মাছের ঘের পানিতে তলিয়েছিল।
ভেসে গিয়েছিল কয়েক কোটি টাকার সাদা এবং চিংড়ি মাছ। সবমিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে তখন ডুমুরিয়া উপজেলার মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, বন্যাপরবর্তী মৎস্য অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক প্রথম ধাপের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।