লাখাইয়ে পানিতে ডুবে তিন সপ্তাহে ৭ শিশুর মৃতু্য
প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হাওড়বেষ্টিত মফস্বলের জনপদ হবিগঞ্জের লাখাই। বিস্তীর্ণ হাওড় ও ভাটি এলাকাসহ বেশিরভাগ বাড়ির আশপাশ বর্ষা মৌসুমে থাকে জলমগ্ন। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এই মৌসুমে পানিতে ডুবে শিশুর মৃতু্যর আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ ছাড়াও পরিবারের মানুষের অসচেতনতা, বেখেয়ালি ও সঠিক পদক্ষেপের অভাবে মফস্বলের এই জনপদে দিন দিন দীর্ঘায়িত হচ্ছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃতু্যর মিছিল। এতে করে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় কচিপ্রাণ। অন্যদিকে বুকের আদরের ধন সন্তানকে হারিয়ে দুঃসহ বেদনার হাহাকার প্রলম্বিত সন্তান হারা হচ্ছে বিভিন্ন পরিবার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরে গত ৩ সপ্তাহে উপজেলায় পানিতে ডুবে চার পরিবারের সাত জন কন্যাশিশুর অকালে করুণ মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীও। সর্বশেষ রোববারউপজেলার কাড়াপুর গ্রামের দুই বছর বয়সি ছেলে শিশু পানিতে ডুবে মৃতু্যসহ ২০ সেপ্টেম্বর বামৈ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে পানিতে ডুবে সুষি আক্তার (৫) ও বর্ষা আক্তার (৪) নামে আবারও আপন দুই বোনের মৃতু্য হয়েছে। সুষি ও বর্ষা ওই গ্রামের সোহাগ মিয়ার মেয়ে।
তথ্য অনুযায়ী গত ৩১ আগস্ট বামৈ পূর্বগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে পাখি আক্তার (৮) ও মাইশা আক্তার (৬) নামে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া আপন দুই বোনের মৃতু্য হয়েছে। পাখি আক্তার ও মাইশা ওই গ্রামের মো. রমিজ মিয়ার মেয়ে কন্যা।
অন্যদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বজনগ্রামে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ডুবে মৃতু্য হয় আপন দুই বোনের। তারা হলো- স্বজনগ্রামের সাধু মিয়ার মেয়ে বাক্প্রতিবঈ তাহমিনা (১৭) ও সোনিয়া (১৫)।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, পানিতে পড়া শিশুকে উদ্ধার করে সঠিক সময় দ্রম্নত হাসপাতালে এনে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে হয়ত সম্ভাবনাময় একটি প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কুধারণা ও অপচিকিৎসা এড়িয়ে দ্রম্নত হাসপাতালে নিয়ে আসাই উত্তম। পাশাপাশি সঠিক সময় নিরাপদ তত্ত্বাবধানে সন্তানকে সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করতে হবে।