নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় এখন পুলিশের জন্য কোন গাড়ি নেই। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের সঙ্গে জনরোষে আড়াইহাজার থানায় অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে দেওয়া ও ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে থানার মূল ভবনসহ পুলিশের থাকার সরকারী কোয়ার্টার, পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি সরকারি গাড়ি ও বিভিন্ন মামলায় জব্দ করা গাড়ি। লুটপাট করা হয়েছে থানার অস্ত্রাগার ও মালখানায় থাকা সব অস্ত্র, গোলাবারুদ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মামলার সব ধরনের আলামত। পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার প্রতু্যষ কুমার মজুমদার থানার ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন করেন এবং থানা পুলিশকে আবার চাঙ্গা মনে কাজ করার তাগিদ দেন। কিন্তু থানার তিনটি গাড়িই পুড়িয়ে দেওয়ায় এখন পুলিশের ডিউটি করার মত আর কোন গাড়ি নেই। তাই পুলিশ ঠিকমত তাদের ডিউটি পালন করতে পারছে না। তা ছাড়া থানা ভবন পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে পৌরসদরে অবস্থিত উপজেলার প্রধান শহীদমিনার সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরী ভবনে অস্থায়ীভাবে থানার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, আড়াইহাজার উপজেলার ১০ ইউনিয়নে এবং ২টি পৌরসভায় প্রায় ৭ লাখ লোকের বসবাস। ৫ আগস্টের অনাকাংখিত ঘটনার পর সব পুলিশ কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান। পড়ে ধীরে ধীরে পুলিশি কার্যক্রম শুরু হলেও পুরো দমে তা করতে পারছে না পুলিশ। ৭ লাখ লোকের জন্য এত অল্প সংখ্যক পুলিশ যথেষ্ট নয় এবং গাড়ির অভাবে পুলিশ ঠিকমত কাজ করতে পারছে না। এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার বর্তমান ওসি এনায়েত হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গাড়ির অভাবে পুলিশ কোন অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কাজে যেতে পারছে না। বাইরে থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে অভিযোগের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, তিনিসহ থানায় বর্তমানে ২০ জন বিভিন্ন পদধারী অফিসার এবং ২৭ জন কনস্টেবল কাজ করছেন।