অবৈধ নিয়োগ বাতিলে হাবিপ্রবি'র দুইজনকে লিগ্যাল নোটিশ
প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সর্বশেষ কর্মকর্তা নিয়োগকে অবৈধ ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে তা বাতিল চেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ এল তাজ এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবিরকে ওই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সর্বশেষ নিয়োগে চাকরি প্রার্থী জামান শাহ, শাতিল ইবনে শামসুদ্দিন ও বেলায়েত হোসেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও দিনাজপুর জজকোর্টের অ্যাডভোকেট সাদিব গোলাম বিন নাসেরের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান বলে জানা যায়।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, হাবিপ্রবি, দিনাজপুরে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডের ভিন্ন ভিন্ন পদে নিয়োগের নিমিত্তে ২৬/০১/২০২০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে িি.িযংঃঁ.ধপ.নফ তে তৎকালীন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে লিগ্যাল নোটিশ দাতারাসহ অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করেন তারা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৬ তম সভায় তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্ত্বে চলতি বছরের ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বহির্ভূতভাবে চাকরি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই ভিন্ন ভিন্ন পদে বেআইনিভাবে জনবল নিয়োগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির পনের (১৫) দিনের মধ্যে ওই নিয়োগ বাতিল না করলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোথাও বলা হয়েছে নোটিশে।
অ্যাডভোকেট সাদিন গোলাম বিন নাসের বলেন, 'লিগ্যাল নোটিশ প্রেরকদের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। ২০২০ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা নিলেও চূড়ান্ত নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতি লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ না করেই রিজেন্ট বোর্ড সভায় বেআইনিভাবে জনবল নিয়োগ করা হয়। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।'
লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ফুয়াদ এল তাজ বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লিগ্যাল অ্যাডভাইজর আছেন। ওনার সঙ্গে বসে আমরা করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'