মাদারীপুরে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত

মনপুরায় মেঘনা থেকে ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার দুই জেলায় ২ গৃহবধূর অপমৃতু্য

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
মাদারীপুরে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এদিকে, ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদী থেকে ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া বাজারে শনিবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইকবাল বেপারী (৩২) নামে এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। এ সময় দুটি বসতঘরে আগুন ও প্রায় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। নিহত ইকবাল বেপারী চরমুগরিয়া এলাকার সোলেমান বেপারীর ছেলে। তিনি কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন। জানা যায়, শুক্রবার বিকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকায় ইকবাল বেপারীর মোটর সাইকেলের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই এলাকার জিহাদ হাওলাদারের (১৬) ধাক্কা লাগে। এর জেরে শনিবার রাতে জিহাদের নেতৃত্বে চরমুগরিয়া বাজারে হামলা চালানো হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষ হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। সংঘর্ষে ইকবাল বেপারী গুরুত্ব আহত হন। তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে নিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন। আহতরা মাদারীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদী থেকে ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার উত্তর সাকুচিয় ইউনিয়নের মাস্টার হাট সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মেঘনা নদী থেকে প্রথমে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর ১২টায় উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ার টেক এলাকার পূর্ব পাশের মেঘনা নদী থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা মরদেহ দুটি নদীতে ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। স্বজনরা খবর পেয়ে মনপুরা থানায় এসে মরদেহ দুটি শনাক্ত করে নিয়ে যায়। মরদেহ দুটি গত শুক্রবার আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যাওয়া মাছধরা ট্রলারে থাকা জেলেদের বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। শনাক্ত হওয়া প্রথম মরদেহটি জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার ২ ওয়ার্ডের দেওয়ানপুর গ্রামের আ. মালেকের ছেলে বেলাল হোসেনের (২৫) এবং দ্বিতীয়টি মনপুরা উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোনার চর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে আলাউদ্দিনের (৩০)। মনপুরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, আপত্তি না থাকায় মরদেহ দুটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মনপুরা থানায় দুটি অপমৃতু্য মামলা হয়েছে। লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীতে ভেসে এলো মুখ ঝলসানো হাত বাঁধা অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ। রোববার দুপুরে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদ্রাসা এলাকা সংলগ্ন তিস্তা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। জানা যায়, চরের জমিতে কৃষকরা কাজ করতে গিয়ে তিস্তার নদীর চরে অজ্ঞাত ওই নারীর (৩০) মরদেহ দেখতে পায়। পরে আদিতমারী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই নারীর হাত ছিল মেহেদী রাঙানো আর তালুতে লেখা 'আই লাভ ইউ'। দুই হাত পেছন দিক থেকে ওড়না দিয়ে বাঁধা এবং কালো রংয়ের বোরকা পরিহিতা ওই নারীর মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতকরা তাকে মেরে হাত বেঁধে মুখ এসিডে ঝলসে দিয়েছে। আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তার পরিচয় শনাক্তে বিভিন্ন স্থানে তথ্য পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জ্যোতি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বাইলাচরা গ্রামের ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের স্বপন শিকদারের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে সংসারের কাজকর্ম করে ওই গৃহবধূ তার ঘরে চলে যান। সন্ধ্যায় ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু দরজা না খুললে দরজা ভেঙে তাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের ধারণা পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।