সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১

ভূঞাপুরে ৯২ লাখ টাকা জলে!

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সংযোগ সড়ক না থাকায় পানির উপর ভেসে থাকা চিনাখড়ি-নইলাখড়ি বিলের উপর নির্মিত ব্রিজ -যাযাদি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৯২ লাখ টাকা জলে পড়ে রয়েছে। বিলের মাঝখানে খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ হলেও রাস্তা না থাকায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না। বর্ষার পানিতে ব্রিজের চতুর্দিকে পানি থইথই করছে।

সরেজমিন উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মমিনপুর উত্তরপাড়া চিনাখড়ি-নইলাখড়ি বিলের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের যাতায়াতের নেই রাস্তা। ফলে ব্রিজে যেতে নৌকাই ভরসা স্থানীয়দের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, পানি শুকিয়ে গেলে ব্রিজের দুপাশে রাস্তা করা হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার ক্ষমতা খাটিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে তড়িঘড়ি করেই ব্রিজটির নিম্নমানের কাজ শেষ করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলার ফলদার মমিনপুরে বিলের মধ্যে প্রায় ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছে। ব্রিজটির পাশাপাশি এর দুপাশে ৫০ মিটার করে রাস্তা রয়েছে। ব্রিজ ও রাস্তার কাজ পায় জেলার মধুপুরের বিলাস বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে ওই প্রতিষ্ঠান সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বিএনপি নেতা লিটন।

স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজটি যতটুকু উঁচু করা হয়েছে যখন পানি শুকিয়ে যাবে তখন ব্রিজের ওপর ওঠা যাবে না। ফলে সেই খালের পানি পেরিয়ে বিলে যেতে হবে। ব্রিজটির কাজ শেষ করার কথা ছিল চার-পাঁচমাস আগেই। কিন্তু এখনো শেষ করেনি ঠিকাদার। ঠিকাদার তাদের মনমতো কাজ করে চলে গেছে।

মমিনপুর গ্রামের আব্দুল ম?জিদ বলেন, কাজ শুরু করার পরই বিলের পানি চলে আসে। পানি আসায় তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার চলে গেছে। গ্রামের ভেতরের যে রাস্তা সেটিই হয়নি সুতরাং ব্রিজে কিভাবে যাবে মানুষজন।

একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের আগে রাস্তা দরকার। ব্রিজটি যেভাবে করছে তাতে একদিকে হেলে পড়েছে। এতে ব্রিজের ওপর পানি জমে থাকে। ব্রিজ যেভাবে করেছে তাতে বর্ষার সময় ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজটি নির্মাণে নির্মাণসামগ্রী ঠিকমতো দেয়নি।

ব্রিজটির সাব-ঠিকাদার লিটন জানান, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে দুপাশে রাস্তা করা হবে।

অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিলের মধ্যে ব্রিজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। পানি চলে আসায় কাজ বন্ধ ছিল। পানি শুকিয়ে গেলে আবার কাজ শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে