ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি '০৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিলস্নাল হোসেনের মৃতু্যকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছেন সহপাঠীবন্ধু ও স্থানীয়রা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শনিবার উপজেলার চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের লিঙ্ক রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। মানববন্ধনে অশ্রম্নসিক্ত কণ্ঠে সহপাঠী-বন্ধুরা হত্যার বিচার দাবি করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার শুভাঢ্যা মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাসগৃহ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃতু্য এমন প্রশ্নে নিহত বিলস্নালের বড়ভাই দুলাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, 'আমরা কোনো ঝামেলায় যেতে চাই না। বিলস্নালের সহপাঠীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে হত্যাকান্ড উলেস্নখ করে মানববন্ধন করতে সহযোগিতা চেয়েছিল। এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় বলেছি। তবে পরিবারের অন্য কেউ এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।' এদিকে মানববন্ধনে এ হত্যাকান্ডে তার সহধর্মিণী স্বর্ণা আক্তার ও বাড়ির লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ও সহপাঠী-বন্ধুরা।
সহপাঠী অ্যাডভোকেট রিয়াদুল ইসলাম জানান, ছাত্রজীবনে খুব মেধাবী ছিল আমাদের বন্ধু বিলস্নাল। পড়াশোনা শেষ চুনকুটিয়া চৌরাস্তায় কাপড়ের ব্যবসা করে স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করছিল। সেদিন হঠাৎ বিলস্নালের মৃতু্য খবর শুনে তার স্ত্রী ও ভাইকে ফোন দিলে পরে কথা বলব বলে কেটে দেন। বাড়িতে এসে লাশ দেখতে চাইলেও দেখতে দেয়নি তার পরিবার। পুলিশ-প্রশাসনকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফন করে। যিনি বিলস্নালের মরদেহ দাফনের পূর্বে গোসল করিয়েছেন তিনি এটাকে স্বাভাবিক মৃতু্য বলতে নারাজ। এমনকি তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্নিত ছিল বলে জানান তিনি।' তবে এ হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক মৃতু্য বলে নাটক সাজিয়েছে দাবি এ সহপাঠীর। তাই বিলস্নাল হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
একই দাবি ব্যারিস্টার কামরুল হাসান তুষার, সোনিয়া শাহরিন, মো. সোহাগ সাব্বির, সুমি আক্তার, অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন মুন্না, নুপুর আক্তার, মো. রাসেল, মো. সোহেল, সাইদুল ইসলাম শুভসহ শতাধিক সহপাঠী ও স্থানীয়দেরও। এদিকে বিলস্নালের মৃতু্যর ঘটনায় ১০ দিন অতিবাহিত হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি থানায়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।