আত্রাইয়ে ভেঙে ফেলা ব্রিজের কাজ শুরু না হওয়ায় ভোগান্তি

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধ
নওগাঁর আত্রাইয়ে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে চলাচলের জন্য তৈরি করা কাঠের সেতু -যাযাদি
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে চলাচলের জন্য তৈরি করা কাঠের একটি নিচু ফুটওভার সেতু পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষক ও সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বর্তমানে খালটি পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা পথচারীদের। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় শাহাগোলা ইউপি ভবানীপুর-শাহাগোলা স্টেশন বাজার রাস্তায় ২০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। গত বছরের ৩ নভেম্বর ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং চলতি মাসের ১৪ তারিখে কাজটি সমাপ্ত করার কথা। সে অনুযায়ী কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদার পুরনো ব্রিজটি ভেঙে ফেলেন। এরপর নামমাত্র নির্মাণ কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান কোনো কাজ সেখানে হয়নি। এদিকে বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে যাওয়ার অজুহাতে নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। কাজ শুরুর আগে চলাচলের জন্য ঠিকাদার স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করেন, যা খালে একটু পানি বৃদ্ধি পেতেই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়তই পারাপারে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শ্রীরামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন, ভবানীপুর গ্রামের সুজন, আব্দুর রশিদ, তারাটিয়া গ্রামের ডিএস জাহিদসহ অকেকেই বলেন, শাহাগোলা, ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তা। এই রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ ভেঙে ফেলায় থমকে পড়েছে এই অঞ্চলের জীবনযাত্রা। শুষ্ক মৌসুমে ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হলেও দ্রম্নত কাজ না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ঠিকাদার দিদারুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেই আমরা কাজ শুরু করব। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর হতে কাজ শেষের মেয়াদ বৃদ্ধি আমাদের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আত্রাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেনরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন উঠাননি। নওগাঁ এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে ওই খালে পানি জমে থাকার কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে পানি নেমে গেলেই ঠিকাদারকে কাজটি করতে বাধ্য করব। এখানে ঠিকাদারের লাপাত্তার কোনো সুযোগ নেই।