শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

ভৈরবের ইকবাল হত্যায় ৯৬ জনকে আসামি করে মামলা

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভৈরবের ইকবাল হত্যায় ৯৬ জনকে আসামি করে মামলা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. ইকবাল (২৯) হত্যার ঘটনায় ৬ দিন পর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হককে প্রধান আসামি করে ৯৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী নবিছা আক্তার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ২নং আসামি করা হয় তোফাজ্জল হকের ছেলে তানভিরুল হক রাফিকে। এ ছাড়া সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক মাস্টারসহ আ'লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। নিহত ইকবাল মৌটুপি গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে। মামলার বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত উলস্নাহ স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে কর্তা বংশ ও সরকার বংশের লোকজন পূর্বশত্রম্নতার জের ধরে সংঘর্ষ বাঁধলে প্রতিপক্ষের বলস্নমের আঘাতে সরকার বংশের ইকবাল ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ বিষয়ে সরকার বংশের নেতা ও সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সরকার বংশের সাফায়েত উলস্নাহ বলেন, 'দীর্ঘদিনের পূর্বশত্রম্নতার জের ধরে কর্তাবাড়ির লোকজন সেদিন আমাদের বংশের লোকজনের ওপর হামলা চালালে ইকবাল নিহত হয়।'

কর্তা বংশের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা তোফাজ্জল হক বলেন, 'ঘটনার দিন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি ভৈরব বাজারে বাসা নিয়ে থাকি। গত ঈদের পরদিন সরকার বাড়ির বংশের লোকজন আমার বাড়ির নাদিমকে হত্যা করে। এরই জের ধরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের বাড়ির ইকবাল মারা যায়। আমাকে মিথ্যা আসামি কেন করা হলো, তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি।' মামলার বাদী নবিছা আক্তার বলেন আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার পেতে শুক্রবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছি।

ভৈরব থানার ওসি হাসমত উলস্নাহ জানান, শুক্রবার রাত ১০টায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ইকবাল হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব বলে তিনি জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে