ছাত্র-জনতার অভু্যথানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্যও পদত্যাগ করেন। উপাচার্যের পদত্যাগের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ। এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সাংবাদিক সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি শিক্ষার্থীদের মতামত যাচাইয়ের জন্য তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রম্নপে 'কোথায় থেকে উপাচার্য চায় হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা' শীর্ষক একটি পোল তৈরি করে।
সাংবাদিক সমিতির তৈরিকৃত এই পোলে এই নিউজ লেখা পর্যন্ত মোট দুই হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী ভোট প্রদান করেন। যেখানে দেখা যায়, নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চান প্রায় এক হাজার ৪৬২ জন (৭০%) এবং বাইরে থেকে চান ৬৫৭ জন (৩০%) শিক্ষার্থী।
নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, 'আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই থেকেই উপাচার্য চাই। বিগত সময়ে যারা বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এসেছিলেন তারা ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। কারণ বাইরে থেকে যারা আসেন তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তেমনটা অবগত থাকেন না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও পরিবেশ বুঝে উঠতেই তাদের পুরোটা সময় চলে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ হলে তিনি পূর্ব থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত থাকবেন। যার ফলে উপাচার্য সহজেই দ্রম্নততার সহিত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়াও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকপ্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, যার ফলে তিনি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারবেন। শুধু তাই নয় তিনি আগের পরিকল্পনা ও প্রোগ্রামের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে।'
অপরদিকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে যেসব শিক্ষার্থী উপাচার্য চান তারা জানান, 'আমরা মনে করি নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ হলে শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি বেড়ে যাবে এবং উপাচার্যের পক্ষপাত করার সম্ভাবনা রয়েছে।'