শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি

স্বদেশ ডেস্ক
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি

বৈষম্য হ্রাস করে দশম গ্রেড তথা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদার এক দফা এক দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। 'দশম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার' সেস্নাগানে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচি করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। যৌক্তিক কর্মসূচির সমর্থন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন।

বক্তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে যোগ্যতার প্রয়োজন হয় স্নাতক কিংবা সমমান। অথচ বেতন গ্রেড ১৩তম। অন্যদিকে একই কারিকুলাম ও সমযোগ্যতায় পিটিআই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাচ্ছেন দশম গ্রেড, যা নিতান্তই বৈষম্য। এছাড়াও সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টররা দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এইচএসসি সমমান ও ডিপেস্নামা পাসে নিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের বেতন দশম গ্রেডে। এসএসসি সমমানে কৃষি ডিপেস্নামায় নিয়োগপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার বেতন পাচ্ছেন দশম গ্রেডে।

বক্তব্য রাখেন উপজেলার মৌডুবি বাইলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী শফি উদ্দিন, কাছিয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাঈল হোসেন, রাঙ্গাবালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাভলী ইয়াসমিন, নয়াভাংগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. লিমন আনসারী, বাদশা মিয়া প্রমুখ।

এর আগে ওইদিন একই দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে সখীপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি খুরশীদ জাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক টিটু, আব্দুল লতিফ, শরীফুল হক মোজাম্মেল, আনোয়ার কবির, মুক্তি আক্তার, সায়মন হাসান জাহিদ, ইয়াসমিন আরা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে স্নাতক পাস যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণি পদমর্যাদা সম্পন্ন ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন। অথচ একই যোগ্যতা নিয়ে মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টররা দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে স্নাতক পাসে বেতন পাচ্ছেন ১০ম ও ৯ম গ্রেডে। কঠোর পরিশ্রম করেও শিক্ষকেরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর মর্যাদায় রয়েছেন। তাই ১৩তম গ্রেড উন্নীত করে ১০তম গ্রেড দিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান শিক্ষকেরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে