আজকের যায়যায়দিন

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বিদু্যতের ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় সেচকার্য ব্যাহত হচ্ছে। চলতি রোপা-আমন মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। সেচের অভাবে রোপণকৃত ধানের চাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিদু্যতের ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে। ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। সময়মতো জমির রোপা-আমন ধানে সেচ দিতে না পারায় তাপদাহে পুড়তে বসেছে ফসল।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গাছুয়াপাড়া বটের ডাঙ্গা চরার চকবোয়ালিয়া মৌজার জমিতে স্থাপিত কৃষক ইয়াসিন আলী ও জাহিদুল ইসলামের ডিপ থেকে দু'টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে।

বিকল্প পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমির আমন ধানের ফসল সেচের অভাবে বিনষ্ট হতে বসেছে। পলস্নী বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন করে ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে গেলে আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা প্রয়োজন।

বিশেষ পর্যালোচনা সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা / রিজার্ভ বাড়ছে, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি

কিন্তু কৃষক ইয়াসিন আলী বলেছেন, 'আমরা কৃষক মানুষ আমাদের পক্ষে হঠাৎ করে এত টাকা দেওয়া কষ্টকর।' কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'কৃষি অফিস অথবা পলস্নী বিদু্যৎ সহায়তা করলে আমাদের এ মৌসুমের রোপণকৃত ধান বাঁচানো সম্ভব।'

পলস্নী বিদু্যৎ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিদু্যতের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ইদানীং বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে কৃষকদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেছেন, বিদু্যতের ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।