দেশ গড়ার কাজে জামায়াত কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে -শাহাজাহান চৌধুরী

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চট্টগ্রাম বু্যরো
চট্টগ্রামে জামায়াতের কর্মী শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শাহাজাহান চৌধুরী -যাযাদি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শাহাজাহান চৌধুরী বলেছেন, 'ইসলাম এসেছে মানুষকে মানুষের গোলামী থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য শুধু নয়, ইসলাম চায় মানুষের জীবন সুন্দর ও সাবলীলভাবে চলুক। মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সমাজ গড়ে উঠুক। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সহজ নয়। তাই এই দেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে নেওয়ার জন্য জামায়াতের দায়িত্ব অপরিসীম। জামায়াতের কর্মীদের মানবিক কর্মকান্ডে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে।' শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের ১৯নং ওয়ার্ডে জামায়াতে কর্মী শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, পতিত স্বৈরাচার জামায়াতের কর্মীদের সীমাহীন নিপীড়নের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে এদেশের অর্থনীতিকেও পঙ্গু করে ছেড়েছে। দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ব্যাংকিং খাতকে লুটপাটের সবচেয়ে বড় মাধ্যমে পরিণত করে দেশকে সংকটের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে, অর্থনৈতিক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে জামায়াতকেই আজ দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আলস্নাহর রসূল যেভাবে অনুপম চরিত্রের মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ের ভূমিকা রেখেছেন তা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের সামনে এগুতে হবে। দ্বীনের বাণী প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। ইসলামের সৌন্দর্য নিজেদের চরিত্রে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি মানুষকে তার দাওয়াত দিয়ে যেতে হবে। সাধারণ জনতাকে বোঝাতে হবে মানব গড়া মতবাদে নয় শান্তি আসবে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে দাখিল হওয়ার মাধ্যমে। নগরের বাকলিয়া থানা ১৯নং প্রশাসনিক ওয়ার্ডের আমীর নুর আহমদের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এরফানুল আজিম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই শিক্ষা বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা, মহানগরী জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমীর আব্দুল জব্বার, থানা সেক্রেটারী সুলতান আহমদ, মুহাম্মদ মফিজুর রহমান, মুহাম্মদ নাছির, মুহাম্মদ সোলাইমান, মুহাম্মদ ফোরকান ও মাওলানা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।