বিদু্যৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, 'ডলার সংকটের কারণে দেশে গ্যাস-বিদু্যতের সংকট হবে না। যে লোডশেডিং ছিল, তা মোটামুটি কাটিয়ে ওঠা গেছে।' সামনে আরও কমবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার 'দেশে গ্যাসের মজুত পরিস্থিতি এবং ভোলায় গ্যাসের সন্ধান বিষয়ক অপপ্রচার' নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্রে ২ টিসিএফ গ্যাস আছে, আর ২ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাস রিসোর্স আছে; যেটা পাওয়া সম্ভব। তবে পত্রিকায় এসেছে, ভোলা গ্যাসক্ষেত্রে ৫ টিসিএফ গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে, যা পুরোপুরি ভুল তথ্য।
সারাদেশে আরও ১০০টি কূপ খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'এখন থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এবং টেন্ডার দেওয়া হবে না। এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।'
ভারতীয় কোম্পানি আদানির বিদু্যৎ বিল পরিশোধের বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, 'বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ও এডিবির কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে সরকার। এখান থেকে বিদু্যৎ ও গ্যাসের পাওনা পরিশোধ করে সামনের সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হবে।'
রেন্টাল পাওয়ার পস্ন্যান্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'চুক্তি বলবৎ থাকায় রেন্টাল পাওয়ার পস্ন্যান্ট নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চাইলেই চুক্তি বাতিল করা যায় না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসপ্রম, এস আলম গ্রম্নপ, সামিট গ্রম্নপ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে এ নিয়ে গঠিত নতুন কমিটি তদন্ত করবে। শ্বেতপত্র কমিটিও এ নিয়ে কাজ করছে।