ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও তাবলিগ জামাতের অনুসারী দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর লুটতরাজ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের পীর সৈয়দ নাঈম উদ্দিন ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌঁছলে তাবলিগ জামায়াত নেতা রহমত উলস্নাহর অনুসারীরা ওই মিছিলে বাধা দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে। এর জেরে বৃহস্পতিবার সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। প্রতিপক্ষের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে দাঙ্গাবাজরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিলস্নাল হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।