গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ শূন্য ঝালকাঠি জেলা। হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলাজুড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। যে কারণে আওয়ামী লীগ শূন্য এ জেলা।
এদিকে, ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে দু'টি মামলা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং ১২ সেপ্টেম্বর দ্রম্নত বিচার আইনে মামলা হয়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ দিকে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন নৌকার আলোচিত সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনিও আত্মগোপনে আছেন।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে চারটি ও রাজাপুর উপজেলায় একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এদিকে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহআলম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুলস্নাহ পনিরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
ঝালকাঠি পৌর বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান তাপু, ঝালকাঠি পৌর ছাত্রদলের সদস্য-সচিব সুমন মন্ডল, সদর উপজেলায় ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকার ওরফে কেশব সুমন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামালের ভাই বিএনপি নেতা মিনার মাহমুদ জুয়েল ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন লেলিন মুক্তা বাদী হয়ে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া রাজাপুর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন বাদী হয়ে ৩৪৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।