নাইক্ষ্যংছড়িতে রাবার ড্যামের গাইড ওয়াল ভেঙে খালে
চলাচল পথ বন্ধ, জনদুর্ভোগ চরমে
প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ফারিখালের উপর নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতাধীন গাইড ওয়াল ভেঙে এখন খালে পড়ে রয়েছে। গাইড ওয়ালের পাশ দিয়ে রয়েছে দৈনিক হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। গাইড ওয়ালটি ভেঙে যাওয়ায় হাজারো মানুষের যাতায়াতকারী একমাত্র পথটি প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাতায়াতকারী প্রায় ৫ গ্রামের কয়েকশ' পরিবার। বিষয়টি জানালেন ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল তালুকদার।
সরেজমিন গেলে রাসেল তালুকদারসহ অন্য অনেকেই জানান, গত ২ সপ্তাহ আগের লাগাতার বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এলজিইডি নির্মিত রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতাধীন গাইড ওয়ালটি ভেঙে যায়। এর ফলে কৃষকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও খালের পেটে চলে যায়। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে রাবার ড্যামের পাশে বসবাসরত বসতবাড়ির মানুষ। যে কোনো সময় ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাকি গাইড ওয়ালসহ বসতঘর ও মুরগির খামার। তা ছাড়া হুমকিতে রয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যামও।
রাবার ড্যাম প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা আমানতুলস্নাহ জানান, কৃষকদের একমাত্র ভরসা এই রাবার ড্যাম প্রকল্প। শুকনো মৌসুমের আগেই গাইড ওয়াল নির্মাণ করা না হলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
স্থানীয় মেম্বার আবু তাহের জানান, রাবার ড্যামের দুই পাশের রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক কয়েকশ' পরিবারের চলাচল রয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে ভেঙে যাওয়া স্থানটি দ্রম্নত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম কোম্পানি জানান, তিনি সরেজমিন পরিদর্শনের পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করছেন। তিনি বলেন পাহাড়ি ঢলের পানিতে গাইড ওয়ালটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের পথও এখন খালের পেটে চলে যায়। তিনি বিএডিসিকে ওয়াল দ্রম্নত মেরামতের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী আবু নাঈম জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন রাবার ড্যাম প্রকল্পের কমিটির কাছ থেকে। তবে গাইড ওয়ালটি এলজিইডি নির্মাণ করেছে। তাই তাদের অন্য আরেকটি ডিপার্টমেন্টের কাজের উপর হাত দেওয়ার অধিকার নেই। তারপরও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন বলে এক কর্মকর্তা জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, 'কাজটি আমাদের ডিপার্টমেন্ট করলেও বর্তমানে রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। বিএডিসি কাজটি করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।'