ঘুরেফিরে একই শাখায় ১৭ বছর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ

বিজিডিসিএলের পার্সোনেল শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) বিজিডিসিএলের পার্সোনেল শাখার ব্যবস্থাপক মো. কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যোগসাজশে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অসদাচরণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসিআর কমিটির মাস্টারমাইন্ডখ্যাত এই কর্মকর্তা ঘুরেফিরে একই শাখায় দীর্ঘ ১৭ বছর কর্মরত থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তার এমন কর্মকান্ডে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। পতিত ফ্যাসিবাদি সরকারের অনুকম্পায় ও স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেটের কারণে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিজিডিসিএলের একাধিক ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগ-পদোন্নতি, বদলি, এসিআর কমিটির মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্সোনেল শাখার ম্যানেজার কবিরুল ইসলাম। তিনি টানা ১৭ বছর একই শাখায় কর্মরত থাকায় স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। বদলি ও পদোন্নতি শাখায় কাজ করার কারণে তিনি তার ইচ্ছামতো বদলি ও পদোন্নতি দেন। তার অপছন্দের কারণে অনেকের পদোন্নতি ২ থেকে ৩ বছরও আটকে থাকার নজির রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। তিনি নিয়োগ বাণিজ্য ও বদলি তদবির করার জন্যই এ শাখা হাতছাড়া করেন না। তার দুর্ব্যবহার ও দমন-পীড়নের কারণে ২০২২ সালে নিয়োগকৃত সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) শফিউর রহমান সুজন দুই মাসের মধ্যে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে সন্তুষ্টি করা ছাড়া পদোন্নতি ও বদলি হওয়া যায় না। এমনকি অনিয়মের মাধ্যমে এক মাসে আগেই নিজের পদোন্নতি নিয়েছিলেন তিনি। তারা বলেন, দুর্নীতির কারণে ২০১৭ সালের অফিসার নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, সেখানেও কবিরের হাত ছিল। টাকা লেনদেনের অভিযোগের কারণে ২০২২ সালের নিয়োগের রেজাল্ট ছয় মাস দুদক আটকিয়ে দিয়েছিল। তখনো কবিরের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সর্বশেষ ২০২৪-এর নিয়োগেও সেই কবিরের বিরুদ্ধেই নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকলেও বিভাগীয় তদন্তে অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বিজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম যায়যায়দিনকে বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পার্সোনেল শাখার ম্যানেজার কবিরুল ইসলাম ১৭ বছর ধরে এক শাখায় কর্মরত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনটি হওয়া উচিত না। তিনি ১৭ বছর ধরে একই শাখায় কর্মরত থাকার বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।