সকালে চটজলদি রান্না শেষ করতে গ্যাসের চুলার পাশেই ইলেকট্রিক জগে ডিম সেদ্ধ করতে দিয়েছিলেন গৃহিনী মুন্নী। সেই জগ থেকেই ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটে লাগা আগুনে পুরে ভস্মিভূত হয়েছে পুরো সংসার। যে ক্ষতির আনুমানিক মূল্য দাবি করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। বুধবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামে আফজাল হোসেনের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আফজাল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন জানান, আগুন লাগলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নেভানোর চেষ্টা করি। ৫০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের ঈশ্বরদী ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার আলমারিতে স্ত্রীর ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণের অলংকার এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকাও পুরে ছাই হয়ে গেছে।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর দ্রম্নত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। তবে ৬টি ঘরের কিছুই অবশিষ্ট নেই। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হচ্ছে না।
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় বৈদু্যতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৩ হিন্দু পরিবারের বসতঘর। বুধবার সকালে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বৈরাগী পাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সঞ্জিত দাস, রঞ্জিত দাস ও পেঠান দাসের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জানা যায়, সকালে বসতঘরের বৈদু্যতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে একটি টিভিতে আগুন লেগে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। বাতাসে আগুন আশেপাশের বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী রুপ্না দাস বলেন, 'আগুন হঠাৎ করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আমরা কোনোরকমে প্রাণ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পেরেছি। বাসা থেকে তেমন কিছুই বের করতে পারিনি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।' সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আজাদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় স্থানীয়রা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।