কক্সবাজার বিমানবন্দরে আ'লীগ নেতা আটক

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীসহ পাঁচ জেলায় গ্রেপ্তার ১৩

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচ জেলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদককে আটক করেছের্ যাব। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর- কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আটক করেছের্ যাব-১৫। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছলের্ যাব-১৫ তাকে আটক করে। পরে তাকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম মোজাম্মেল হকের জ্যেষ্ঠ ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ। আটক সৈয়দ আলম ওরফে আবু সাদ (৩৭) রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ এর কালা মিয়ার ছেলে। বুধবার ১৪ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের রামপাল তাপ-বিদু্যৎকেন্দ্রের ম্যাটারিয়াল এলাকা থেকে কনস্ট্রাকশন কাজে ব্যবহৃত মালামালসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব-৬। এ সময় চুরি কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্বর এলাকা থেকে ট্রাকসহ দুইজনকে আটক করা হয়। আটকরা হলো- খুলনার দাকোপ উপজেলার চুনপুরি গ্রামের খালিদ হাসান শেখ (২১) ও রুহুল আমিন মলিস্নক (২১)। খুলনার্ যাব-৬ এর মিডিয়া সেল থেকে বুধবার সকালে পাওয়া এক মেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। উদ্ধারকৃত চোরাই মালের আনুমানিক মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে সেনাবাহিনীর রানার পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামুন হাওলাদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর একটি দল। মঙ্গলবার উপজেলার সুবিদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী। গ্রেপ্তার মামুন হাওলাদার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা এলাকার মৃত ইউসুব আলী হাওলাদারের ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর রানার পদে চারজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার করে মোট আট হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর নিয়ামতপুরে ১৬ লিটার চোলাই মদসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার ছাতড়া বাজারের তিনমাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলার রনইল গ্রামের আজিজুল (৫৬) ও গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মতিন (৫৫)। নিয়ামতপুর থানা ওসি মোহাম্মদ আল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চোলাই মদ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনের নামে একটি মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২৪ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানোর্ যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তাররা হলো- পৌর এলাকার উত্তর মৌড়াইলের আমিনুজ্জামান (৪০), পাইকপাড়ার ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও পুনিয়াউটের ইয়াছিন-(২৮)। গ্রেপ্তারদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রূপসী গাজী টায়ারস কারখানায় লুটপাট করার সময় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গেস্খপ্তাররা হলো- ময়মনসিংহের বানিয়াচং থানার ইসলামপুর মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে ফয়সাল, লালমনিরহাট সদর থানার পশ্চিম আন্ডারি এলাকার তমিজউদ্দিনের ছেলে শুভ আজাদ, নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার বাদ্দার এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে রিপন, মহিষবেড় এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে নুর আলম, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার কাচ্চাইল এলাকার শামসুল হকের ছেলে ফারুক ও ডালাগাঁও এলাকার আয়নাল হকের ছেলে মোশারফ। তারা সবাই গাজী টায়ার কারখানার আশপাশের এলাকায় বসবাস করে।