মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওড় তীরের ভুকশিমইল ইউনিয়নেই ১ হাজার ৮১ নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। শুধু আর্সেনিক নয়, ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার গভীর-অগভীর নলকূপে উচ্চমাত্রার আয়রনের কারণে মানুষ পানি পান করতে পারে না।
মঙ্গলবার কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ প্রকল্প অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্পের এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ সাদেক সফিউলস্নার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রোগ্রাম চিফ মো. মিজানুর রহমান, মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার সাইয়েদ এ এইচ সানী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউনিসেফ সিলেট বিভাগীয় প্রধান কাজী দিল আফরোজ ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মোহসিন ও প্রেস ক্লাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, ওই প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর, ভুকশিমইল, কুলাউড়া সদর ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নে আর্সেনিক জরিপ পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে ভুকশিমইল ইউনিয়ন। প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে এসব ইউনিয়নকে আর্সেনিক সেইফ ইউনিয়ন ও খোলা জায়গায় মলত্যাগ নয় শতভাগ অর্জন করতে বা ঘোষণা করতে হবে। ইউনিসেফের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও এশিয়া আর্সেনিক নেটওয়ার্ক উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এটি একটি পাইলট প্রকল্প। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এই প্রকল্পের আওতায় আর্সেনিক জরিপকাজ পরিচালনার দাবি জানানো হয়।