শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

পদ্মার ভাঙনে ঘর-বাড়ি বিলীনের শঙ্কা রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসীর অবরোধ

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পদ্মার ভাঙনে ঘর-বাড়ি বিলীনের শঙ্কা রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসীর অবরোধ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল, মসলেমপুর ও মুন্সিপাড়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২-১৫ মিনিট পর্ষন্ত কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এতে অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ।

পদ্মার ভাঙনে ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী করজোড়ে এসব রক্ষার দাবি জানান। ভেড়ামারা ১০ মাইলে নদী ভাঙন বিষয়ে জনতা রাস্তা অবরোধ করে রাখলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুন্ডুর আশ্বাসে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল থেকে ১০ মাইল পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। ফলে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নদী ভাঙন সমস্যার সমাধান না হলে এই অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম পদ্মাপাড়ের মানুষ আতংকে দিনযাপন করছেন। উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল, মসলেমপুর ও মুন্সিপাড়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙনে কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তা, ইটভাটা ও বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শত শত বিঘা ফসলি মাঠ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন থেকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসী। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ৪ ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছেন তারা।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, আমরা দ্রম্নত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের ৫০০ মিটার গ্রোয়েন (বাঁধ) নদীর মধ্যে আছে। সেখানে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অপর পাড়ে ভাঙছে। এমনটাই ধারণা করছেন এলাকাবাসী। যেহেতু নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে তাই ভাঙনটা তীব্র হচ্ছে।

ইউএনও আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছাড়েন। আটকে থাকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে যত দ্রম্নত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে