অতিবৃষ্টিতে পাইকগাছার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত
প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় গত ৪ দিনের ভারী বৃষ্টিতে পৌরসভাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি সোমবার দিনভর অব্যাহত ছিল। ভারী বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাচ্ছে, ফসল ও বাড়ির উঠান ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের ভেতর ও বাইরের শত শত চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি।
টানা ভারী বর্ষণে এলাকায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। টানা বর্ষণের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর। টানা বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন খাল, নালা-নর্দমা থেকে পানি উপচে অনেক জায়গায় রাস্তা তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় পানি কমতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়ছে। জমিতে রোপণ করা আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
গদাইপুর ইউনিয়নের মৎস্য এবং ধান চাষি মনিরুল জানান, 'কিছুদিন আগে ভারী বৃষ্টির কারণে ধান তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমরা পুনরায় বীজতলা সংগ্রহ করে রোপণ করেছি। এবার এ বৃষ্টিতে যদি নষ্ট হয়ে যায় তা হলে এ মৌসুমে আর আমন ধান হবে না। আমরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, পর পর দুই বার ভারী বৃষ্টিতে আমন ধান তলিয়ে যাওয়ার কারণে পাইকগাছায় আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে না।