কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত পথচারী পলাশের বিধবা মায়ের কান্না আজও থামেনি। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে অশ্রম্ন ভেজা কণ্ঠে ছেলের পথ পানে চেয়ে আছেন বিধাব মা। সদস্য ছেলে হারানো মা বেনু বেগম ও সদস্য বিধবা স্ত্রীর চোখের জলে যেন নদী বয়ে যাচ্ছে। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের আকাশ-বাতাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ফিরোজ তালুকদার পলাশ (৩৮) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দী গ্রামের মরহুম সোহরাব হোসেন ও বেনু বেগমের ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরে সপরিবারে থাকতেন এবং রংপুর কেমিক্যাল কোম্পানিতে পিওন পদে চাকরি করতেন।
সেদিন ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের সেস্নাগানে প্রকম্পিত রাজধানী ঢাকা শহর। পুলিশের মুহুর্মুহু গুলির শব্দে আকাশ বিদীর্ণ হচ্ছে। মাকে ভীষণ মনে পড়ছে পলাশের। স্ত্রী এবং ৪ বছরের মেয়েকে মিরপুর ১২ নম্বরের বাসায় রেখে মাকে দেখতে ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দী গ্রামের উদ্দেশে বের হন পলাশ। মিরপুর ১০ নম্বর আসামাত্র পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার ফোন দিয়ে পথচারী কেউ পলাশের মাকে তার মৃতু্যর সংবাদ জানায়। দুঃখিনী মা তার বউমাকে জানান। তাদের কান্নার রোল ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা শহরে এবং টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে। সে কান্না আজও থামেনি। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে অশ্রম্নভেজা কণ্ঠে আজও ছেলের পথ পানে চেয়ে আছেন বিধবা মা বেনু বেগম।
৪ বছরের শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন দরিদ্র পরিবারের অল্পবয়সি সদ্য বিধবা পলাশের স্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমার স্বামী ছোট্ট একটি চাকরি করত। এখন আমার সন্তান আর আমার ভবিষ্যৎ কী জানি না।'