চিলমারীতে ভিডবিস্নউবির খাদ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডবিস্নউবি) প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কার্ড ও খাদ্য বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্যের স্ত্রীর নামে কার্ড ইসু্য, নামে-বেনামে কার্ড ইসু্য করে খাদ্য আত্মসাৎ এবং খাদ্য বিতরণের সময় টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম রয়েছে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে বুধবার লাল মিয়া নামে এক প্রাক্তন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক দপ্তরের ভিডবিস্নউবি প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় মোট তিন হাজার ২২৩ জন অতিদরিদ্র মহিলাকে তাদের স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা হিসেবে মাসিক ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। নিয়মানুযায়ী প্রতি দুই বছরের জন্য অতিদরিদ্র এই নারীদের পর্যাক্রমে প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। ২০২৩-২৪ চক্রের খাদ্য বিতরণের লক্ষ্যে বর্তমানে মহিলাবিষয়ক দপ্তর থেকে জুলাই ও আগস্ট দুই মাসের খাদ্য বিতরণের জন্য ডিও দেয়া হয়। জুলাই মাসের চাল বিতরণকালে গত সোমবার এক নামের কার্ড অন্য ব্যক্তি নিয়ে আসায় তাদের খাদ্য প্রদান না করে ফেরত পাঠানো হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন তার পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য নুর আলম ও সংরক্ষিত সদস্য মনোয়ারা বেগমকে নিয়ে ভিডবিস্নউবির সুবিধাভোগী নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন।
অনিয়মগুলোর মধ্যে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য নুর আলমের স্ত্রী মোছা. বেবী বেগমের নামে কার্ড ইসু্য করে খাদ্য উত্তোলন করা হচ্ছে। একই ওয়ার্ডের মুক্তা আক্তার নামে কার্ড থাকলেও তিনি তা জানেন না। শ্রীমতি সাধনার নামে কার্ড আছে কিন্তু তিনি জানেন না। মিনারা বেগমের নামে কার্ড ইসু্য করা হলেও তিনি পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকার স্থায়ী গৃহবধূ।
থানাহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য নুর আলমের স্ত্রী বেবি বেগম জানান, তার নামে কার্ড আছে কি নাই তা তিনি জানেন না, মেম্বার জানেন।
থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক মিলন তার ইউনিয়নের ভিডবিস্নউবি প্রকল্পের উপকারভোগীর তালিকায় অনিয়মের প্রসঙ্গে জানান, 'এসব অভিযোগ আমাকে আগে কেউ দেয়নি।'
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সোহেলী পারভীন জানান, অভিযুক্ত ৮টি কার্ডের খাদ্য বিতরণ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।