গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ তিন জেলায় আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইকৃত ইজিবাইক, মোবাইল ফোন এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
রোববার গোবিন্দগঞ্জে থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান। তিনি জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক রায়হান কবীর মিলন তার ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঙ্গুরা গ্রাম থেকে পুলিশ ইজিবাইক চালক আবু রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তার মা লাশ শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত রায়হান কবীর মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলো- উপজেলার খরিতা গ্রামের খিদেমুল ইসলাম (২৭), পলাষট্টি গ্রামের নাজমুল ইসলাম (১৯), চন্দন মালি (৩০), এবং রঘুনাথপুর গ্রামের মীর হোসেন (২৪)।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃতু্য দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শহিদুল মলিস্নককে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। শনিবার রাতে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি শহীদুল মলিস্নক উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনার্ যাব-৬ এর মিডিয়া সেল থেকে রোববার এক মেইল বার্তায় জানানো হয়, বাগেরহাটের বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের বিচারক ১৯৯৮ সালে উপজেলার বহরবুনিয়া এলাকায় একজন হিন্দু নারীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি শহিদুল মলিস্নককে মৃতু্যদন্ড প্রদান করে। এর আগে হত্যাকান্ডের পর থেকে শহিদুল মলিস্নক পলাতক ছিল। তাকে আটক করে মোড়েলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি শামসুদ্দিন বলেন, বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে শহিদুল মলিস্নককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ফাতেমা সুলতানা রেহেনা (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী অ্যাডভোকেট সাহিত্য মুরসালিনসহ পরিবারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার নিহতের পিতা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে মেয়ের স্বামী অ্যাডভোকেট সাহিত্য মুরসালিনসহ পরিবারের ৫ জনকে আসামি করে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহনগঞ্জ পৌর শহরের কাজিয়াটি গ্রামে স্বামীর বসতঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ফাঁসিতে ঝুলন্ত রেহেনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, হত্যা মামলার অভিযোগ পেয়ে স্বামীসহ পরিবারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ করার সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে তুলে দেন। গ্রেপ্তার আব্দুল কাইয়ুম (৪৫) সরকারপাড়ার আবদুন নূরের ছেলে। অন্যান্যরা হলেন কাইয়ুমের সহযোগী উজ্জ্বল মিয়া (৩০) ও মাইশা (৩০)। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, রোববার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।