স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ
প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ময়মনসিংহ বু্যরো
সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জোরপূর্বক শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জেরে ময়মনসিংহ জেলার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না হয় তা নিশ্চিতে এবং স্কুল-কলেজের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে নির্দেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে এ ধরনের যে কোনো ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেও জেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশনা দেন তিনি।
রোববার ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সভাপতিত্বকালে ময়মনসিংহের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এ নির্দেশনা দেন। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ময়মনসিংহ জেলার সব স্কুলে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এডিস মশার সংক্রমণ রোধে এবং ডেঙ্গু রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট বিতরণ ও প্রচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে উলেস্নখ করেন। রাসেল ভাইপারের ঝুঁকিকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিভেনম মজুত রয়েছে বলেও জানান।
সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ময়মনসিংহের তরফে জানা যায়, আন্দোলনকালীন ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক ও সড়কে স্থাপিত ডিভাইডারের মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া সড়কসমূহে স্পিডব্রেকার স্থাপন, নির্দিষ্ট দূরত্বে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজও চলছে। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী জানান।
ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফার্মেসিগুলোতে নকল ওষুধ প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জেলায় লোডশেডিং রয়েছে বলে উলেস্নখ করলে জেলা প্রশাসক লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি সাম্প্রতিক বন্যার পানি দ্রম্নত নেমে যাওয়ায় জেলায় আমন বীজতলা ও ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানান।
সভায় জেলা পুলিশের ট্রাফিক শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজিম উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) শেখ মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।