কচুয়ায় প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেলেও মেলেনি প্রতিকার

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও ক্ষমতার দাপটে মেলেনি কোনো আইনগত প্রতিকার। গত ২০২২ সালের ৫ জুন কচুয়া সরকারি সিএস পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জীনাত মহলের কাছে শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে উলেস্নখ করেন আয় ব্যয়ের হিসাব নিজের মতো করে রাখা ও অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি, একক ব্যক্তির নামে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা, বিদ্যালয় সরকারিকরণের আগে অর্থের বিনিময়ে জনবল নিয়োগ, সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিদ্যালয় সরকারি করার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয় বিদ্যালয়ের সভাপতিকে বাদ দিয়ে। শিক্ষক, কর্মচারীদের মারধর ও হিন্দু শিক্ষকদের বিভিন্ন সময় অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ প্রধান শিক্ষক ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থেকে মাস শেষে একবারে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার অভিযোগ করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির নামে পরিচালনা হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক একক নামের হিসাব থেকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয় পরিচালনা করেন। এ কারণে আয় ব্যয়ের হিসাব কেউ জানেন না। বিদ্যালয় সরকারিকরণের কথা বলে সহকারী শিক্ষকের কাছে জনপ্রতি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে ২৩ জন সহকারী শিক্ষকের কাছে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউএনও'র কার্যালয় থেকে ২০২২ সালের ৫ জুন ৬নং ডকেটে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ১০ জুনের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য ১৩ ও ১৪ জুন ২৩ জন সহকারী শিক্ষককে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তলব করে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। ১৫ জুন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মনিয়া সুলতানার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে ওই দিনই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইউএনও বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগের ৯০% সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে ৯০% সত্যতা পাওয়া গেলেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়ার পরেও আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।