মজুমদার প্রোডাক্টস্‌ লিমিটেডের ভোজ্যতেল উৎপাদনের মিল

শেরপুরে ট্যাংক বিস্ফোরণে চার শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে মজুমদার প্রোডাক্টস্‌ লিমিটেডের ভোজ্যতেল উৎপাদনের মিলে তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে চার শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। তবে বিকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার না দেওয়ায় মামলা করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি পুলিশের। তদন্ত কমিটির মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আব্দুল মজিদ আহ্বায়ক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ কাইয়ুম সদস্যসচিব এবং শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. কামাল হোসেন, শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও কলকারখানা-প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শককে সদস্য করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে ঘটনাস্থল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত করে মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী সাংবাদিকদের বলেন, 'ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। কারণ, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, সেখানে যারা কাজ করছিলেন, তারা ছিলেন শ্রমিক। কোনো টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার বা এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কাউকে পাইনি। তাই এ ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানে আরও এ ধরনের ১২টি ট্যাংকার রয়েছে। এসব ট্যাংক পরিষ্কার ও মেরামত কাজে প্রতিনিয়তই অনেক শ্রমিক কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে তাদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।' উলেস্নখ্য, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা নামক স্থানে অবস্থিত মজুমদার প্রোডাক্টস্‌ লিমিটেড ভোজ্যতেল স্বর্না রাইস ব্র্যান অয়েল মিলের লাইন মেরামতের সময় মজুত রাখা তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে চারজন শ্রমিক মারা যান। তারা হলেন- নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌরশহরের অফিসার্স কলোনি এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (৩২), একই এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ (৩৮), আব্দুস সালামের ছেলে মনির হোসেন (২৮) ও একই গ্রামের বাসিন্দা রুবেল আহমেদ (৩১)। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত তিনজন চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।