মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে ১০টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ওই ইউনিয়নে ফানাই নদীর ভাঙনে জনগুরুত্বপূর্ণ চৌধুরীবাজার-কর্মধা ভায়া মুকুন্দপুর পাকা রাস্তাটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় এ দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের একিদত্তপুর এলাকার মাসুক মিয়ার বাড়ির পাশ হতে মহরম মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশ পর্যন্ত প্রায় ৫শ' ফুট রাস্তার ৮০-৮৫ ভাগ এবং মুকুন্দপুর রাজা মিয়ার বাড়ির দক্ষিণে প্রায় ২০০ ফুট রাস্তা ফানাই নদীর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল না করায় পার্শ্ববর্তী ১০-১২টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ইউনিয়নের একিদত্তপুর, মুকুন্দপুর, কবিরাজী, হাশিমপুর, বাবনিয়া, বেরী, কান্দিগাঁও, মহিষমারা, কোনাগাঁওসহ দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এই রাস্তাটিকে বাইপাস সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী তাজুল ইসলাম জানান, এই রাস্তা দিয়ে চৌধুরীবাজার জিএস কুতুবশাহ আলীম মাদ্রাসা, শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়, একিদত্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। একিদত্তপুর, মুকুন্দপুর ও কবিরাজী গ্রামের মানুষের আসা-যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। চলতি বন্যায় পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটির ৮০-৮৫ ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের শত শত মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।
কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকবর আলী সোহাগ জানান, এটা মূলত ফানাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি উপজেলা পরিষদ ও মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটির সংস্কার করা হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।