বেরোবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ফের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ফের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বেরোবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেটে মানববন্ধনে তারা এই আল্টিমেটাম দেন। মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'আপনারা জানেন আমরা এর আগে ৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি, কিন্তু আমাদের কোনো ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। যার কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এখানে দাঁড়িয়েছি। এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহলে আমরা মর্ডান মোড় বস্নক করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করব। আমরা আবারও বলতে চাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো বৈষম্য চলবে না।' বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, 'চব্বিশের গণ-অভু্যত্থান সূচনা যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে সেখানে এখনো ভিসি নেই। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আন্দোলনের নতুন মাত্রা পায়। আজকে এখনে দাঁড়িয়ে খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের ভিসির জন্য মাঠে নামতে হয়। আমরা শিক্ষার্থী আমাদের প্রথম কাজ আমরা পড়াশোনা করব দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখব। কিন্তু আমাদের সেই জায়গাটি স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা দ্রম্নত কাস পরীক্ষায় ফিরতে চাই।' কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, 'জুলাইয়ের যে গণ-অভু্যত্থান যেখানে আবু সাঈদ যদি এভাবে না মারা যেত তা এই পর্যায়ে যেত না। এটি কিন্তু ছিল একটি কোটার আন্দোলন। আবু সাঈদের মৃতু্যর পর তা গণ-অভু্যত্থানে রূপ নেয়। সরকার পতন হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথগ্রহণের পর উনি একটি ইউনিভার্সিটি ভিজিট করেছেন সেটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। আমাদের দাবি শুনেছেন। অনেক দিন হয়ে গেল কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ভাইস চ্যান্সেলর পাইনি। ভাইস চ্যান্সেলর না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ও একাডেমিক স্থবিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা পড়ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ হয়েছে। আমরা চাই আমাদের যোগ্য একজন ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়া হোক। '