নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি-ঝড়োহাওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। শুক্রবার রাত থেকে জেলায় বৃষ্টি হলেও এদিন সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির সাথে বাড়তে থাকে ঝড়োহাওয়া। রাতভর এই পরিস্থিতির মধ্যে অনেক এলাকায় বিদু্যৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শনিবার ভোর থেকে সারাদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়োহাওয়া বইছে।
এতে বিভিন্ন এলাকায় গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলা শহর মাইজদীসহ ৮ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় পথঘাট, বাড়িঘর আবারও পানির নিচে ডুবে গেছে। সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে অনেক এলাকায়। নোয়াখালী পৌর এলাকা শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত মাইজদী, সোনাপুর, দত্তেরহাটসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক এলাকায় বিদু্যৎ নেই, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের। জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নোয়াখালীতে শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার রাতে সাতটি মাছ ধরা নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাগুলোর ৩০ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনো আরো কয়েকজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডুবে যাওয়া নৌকার মালিকরা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানিয়েছেন, নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় শনিবার পর্যন্ত পানিবন্দি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩শ মানুষ। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৩৮ হাজার ২৭১ জন মানুষ।