দশ পরিবারকে উৎখাত করে আশ্রয়ণের ঘর দখলের চেষ্টা

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কাকাইলছেও আশ্রয়ণ প্রকল্পে দশটি অসহায় পরিবারকে উৎখাত করে তাদের ঘর দখলের চেষ্টা করেছে একদল প্রভাবশালী। পরে প্রশাসনের বল প্রয়োগে জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেলে দখলদাররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবোধ মন্ডল বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কাকাইলছেও ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান আরজুর ইন্ধনে একদল লোক তাদের অনুপস্থিতিতে দশটি ঘরের দরজার তালা ভেঙে মালামাল বের করে দেয়। সরেজমিন গেলে তারা জানান, সকালে আশ্রয়ণের বাসিন্দা অধিকাংশ নারী-পুরুষ হাওড়ের কাজে চলে যান। সেই সুযোগে প্রভাবশালী একদল লোক ৫১টি ঘরের মধ্যে ১০টি দখলে নিয়ে নেয়। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তারা আগের বাসিন্দাদের জিনিসপত্র ঘরের বাইরে বের করে দেয়। প্রথমেই নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির ঘরটি দখলে নেন স্থানীয় প্রভাবশালী ও ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান আরজুর ঘনিষ্ঠ কাদির মিয়া। পরে একে একে আব্দুল কাইয়ুমের ঘরে কিবরিয়া আক্তার, লেকু মিয়ার ঘরে আরিফ মিয়া, পরশ আলীর ঘরে সফিকুল, রজব বিবির ঘরে তোফাজ্জল মিয়া, সমীরণ সরকারের ঘরে বাকলু মিয়া ও ভূপেন্দ্র রায়ের ঘরে বদির মিয়া প্রবেশ করেন। মুগল মিয়া ও হুসনা বেগমসহ আরও তিনজনের ঘরের দখল নিয়ে নেয় অন্য দুইজন। আশ্রয়ণের বাসিন্দা হোছনা আক্তার জানান, 'কাদিরের স্ত্রী এসেই তাকে মারধরে উদ্যত হন। এরপর সবার ঘর একে একে দখল করা হয়। ঘটনা প্রশাসনকে জানানোর পর কাদির তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘর ছেড়ে চলে যান। যে কোনো সময় তারা আরেকবার ঘর দখলে আসতে পারেন।' সমীরণ সরকার জানান, সকালে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা হাওড়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে কৌশলে দরজা খুলে প্রভাবশালীরা ঘরের দখল নিয়ে নেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবোধ মন্ডল জানান, একদল লোক আশ্রয়ণের ঘর দখলের চেষ্টা করে। পরে ইউপি সদস্য আব্দুর রব ও আজিজুর রহমান আরজুকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে যাদের নামে ঘর বরাদ্দ তাদের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 'আজিজুর রহমান আরজুর ইন্ধনে অসহায় লোকদের ঘর দখলের চেষ্টা করা হয়েছে'- এ অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরজুকে বল প্রয়োগ করার পর তিনি আগের বাসিন্দাদের কাছে ঘরের দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে আজিজুর রহমান আরজু বলেন, 'এগুলো আমার বাপ-দাদার ঘর না। আজ একবারও আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাইনি। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রটানো হচ্ছে।'