পরশুরামে বিএনপির দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহয়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্রদল ও যুবদলের স্থানীয় নেতাদের না জানানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামে ছাত্রদল ও যুবদলের স্থানীয় দুটি গ্রম্নপের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে একদল যুবক ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সুবার বাজারে দুই গ্রম্নপের মহড়া চলে। কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি এম দাউদের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছারের তত্ত্বাবধানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তকে টাকা প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম সরকারের সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের মো. হাশেম, শাহীন, মো. ইমন, আইয়ুব হোসেন, রাব্বি, শাহাদাত, লিমন নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুবার বাজারে দুই গ্রম্নপ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয় এবং দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে সেলিম সরকার গ্রম্নপের আরও ৯ নেতাকর্মী শাহিন, দিদার, আবুল হাশেম, রনি আলামিন, মোবারক, রাজন, সোহেল আহত হন। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছার জানান, 'আমরা মজনু ভাইয়ের ব্যানারে মধুগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে নগদ অর্থ বিতরণ করছিলাম। এ সময় আমাদের শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে তারা হামলা চালায়।' অপরদিকে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম সরকারের সমর্থিত গ্রম্নপের সদস্য ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিন জানান, 'মধুগ্রামে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছার একজন ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান করছিলেন। এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে দেখে আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ করে। তবে সেখানে তেমন কিছুই হয়নি। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আর্থিক সহয়তা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করে।' এ ব্যাপার পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম বলেন, 'ঘটনাটি অবগত হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ কয়েকজনকে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।' পরশুরাম মডেল থানার ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, 'সুবার বাজারে বিএনপির দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষের বিষয়টি জেনেছি। তবে এই বিষয় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।'