অস্বাস্থ্যকর খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন খাবারে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দিন পার করছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং ও ক্যানটিনে এ মানসম্মত ও স্বল্প মূল্যের খাবারের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নির্ভর হয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। হোটেলগুলোর রান্নাঘরের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহে ব্যর্থ হচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁশেরহাটের হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে দই মিষ্টি খেয়ে ফুড পয়জিনের স্বীকার হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান হৃদয় নামের শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'গত ৮ তারিখ আমার বন্ধু জন্মদিনের ট্টিট হিসেবে এক্স নিলয় হোটেল বর্তমান বাঁশেরহাট হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে দই মিষ্টি খাওয়ায়। দই খেয়ে ৭-৮ জনের পেটে জ্বালাপোড়াসহ বমি হয়।'
এছাড়াও বাঁশেরহাটের সাদিক হোটেলের খাবারে তেলাপোকা, নোংরা খাবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পোকা পাওয়ার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকালকে খিচুড়ি নিয়ে অভিযোগ আসার পর পরই ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ খিচুড়ি সেল বন্ধ করে এবং রাঁধুনিকে কড়া ভাবে সতর্ক করে। এছাড়াও রান্নার সামগ্রী ভালোভাবে চেক করে কোনো সমস্যা পাওয়া যায় নি। এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে। এর জন্য আমরা গতকালকেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছি। আবারো ক্ষমা চাচ্ছি। আমরা আরও সচেতন হয়েছি। খাবারের মান ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এবং পরামর্শ আমাদের আরও সহযোগিতা ও সচেতন করছে। আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহে বদ্ধপরিকর।
এ বিষয়ে দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম জানান, 'আমরা তো সবসময় বাঁশেরহাটের হোটেলগুলোকে নজরদারিতে রাখতে পারি না। এর আগেও আমরা হোটেলগুলো ইন্সপেকশনে গেছি অনেক হোটেলকে জরিমানাও করেছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, 'আমরা বিষয়টি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছি। এখনো পুরোপুরি প্রক্টোরিয়াল বডি তৈরি হয় নি- যার কারণে একটু অসুবিধা হচ্ছে। আমরা কয়েকদিনে মধ্যেই হোটেলগুলো মনিটরিং এ যাব এবং নিয়মিত মনিটরিং করার পস্ন্যান আছে। এছাড়াও হল সুপারদের সঙ্গে বসে হলের ডাইনিংগুলো পুরোদমে চালুসহ খাবারের মান উন্নয়ন করারও পরিকল্পনা আছে। এতে শিক্ষার্থীদের হোটেল নির্ভরতা কমবে।