কর ফাঁকির অভিযোগ

জেনারেল আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে এনবিআর

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে শেখ নূর তাপস এবং সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) একজন কর্মকর্তা। প্রাথমিকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য তাদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে সিআইসি। আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণের বাইরেও অনুসন্ধানের আওতায় আসা ব্যক্তিদের জমি, বাড়ি, গাড়ির প্রকৃত মূল্য খুঁজতে সরেজমিন তদন্ত করা হবে। অনিয়মের অংশ হিসেবে তারা ব্যাংকে অর্থ লেনদেন না করে নগদ টাকায় জমি বা সম্পদ কিনে থাকতে পারেন- এমন সম্ভাবনা থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন ওই কর্মকর্তা। সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় মূলত তার ভাইদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, দন্ড মওকুফে প্রভাব বিস্তার, এনআইডি জালিয়াতির মাধ্যমে দেশ ত্যাগের বিষয়গুলো সামনে আসার মধ্য দিয়ে। প্রবল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচু্যত হলে আগের সব অনিয়ম আবারও সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্ত শুরু করে কয়েকটি সংস্থা। এর মধ্যেই এবার তদন্তে নামল এনবিআর। ৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা জেনারেল আজিজ আহমেদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, বিদেশে অর্থ পাচার এবং বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ও বাড়ি কেনার অভিযোগ অনুসন্ধান করবে। একই সঙ্গে আজিজের ভাই তোফায়েল আহমেদ জোসেফের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও খতিয়ে দেখবে দুদক। এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার, সাবেক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা কারণে আলোচিত ছিলেন শেখ পরিবারের সদস্য তাপস। সরকার পতনের আগেই তিনি দেশত্যাগ করেছেন। পালিয়ে গেলেও নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। সরকার পতনের পর একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ পদ থেকে চাকরিচু্যত শাকিল ও প্রিন্সিপাল করেসপন্ডেন্ট অ্যান্ড প্রেজেন্টার পদ থেকে চাকরিচু্যত রূপা দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টার সময় বিমানবন্দরে আটক হন। ২১ আগস্ট আটকের পরদিন তাদের টঙ্গীর পোশাক শ্রমিক ফজলুল করিমকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনে তাদেরকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক। এরপর আরেক দফায় আরেক হত্যা মামলায় তাদের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এর আগে সিআইসি দেশের বড় পাঁচটি শিল্প গ্রম্নপের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে। এসব গ্রম্নপ হচ্ছে- সামিট, ওরিয়ন, নাসা, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা। কর্মকর্তারা জানান, কর ফাঁকি অনুসন্ধানে শেয়ার লেনদেনের তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।