ফতুলস্নায় বিক্ষোভ মিছিলে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া-সংঘর্ষ ও গুলি, আহত ৩০
প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্নায় মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়ে গুলি করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকা। এ সময় আলোচিত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন হাজীর পুত্র আক্তার, সুমন ও তার মেয়ে জামাতা পঞ্চবটির যুবলীগের মাসুদ ওরফে ওলা মাসুদের নেতৃত্বে তান্ডব চালায়। দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে ফতুলস্না থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ উভয় গ্রম্নপের প্রায় ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন।
গত বুধবার বিকালে ফতুলস্নার রেললাইন বটতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রতক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফতুলস্না ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেগে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে রেললাইন বটতলায় ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকে লোকজন। পরে বিকালে মিছিলটি রেললাইন বটতলা হয়ে কোতালের বাগ কবরস্থান পার হওয়ার সময় উলিস্নখিতদের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় মিছিলকারীদের উপর কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা। এতে করে বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে মিছিলের লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে।
এক পর্যায়ে দুই গ্রম্নপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে মিছিলকারীরা একত্রিত হয়ে গুলিবর্ষণকারীদের ধাওয়া দিলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে উঠে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় আশপাশের দোকানপাট, বসতবাড়ি, ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওইসময় ইটপাটকেলের আঘাতে ফতুলস্না থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। রবিন ছাড়া আহত অন্যদের নাম এখনো জানা যায়নি।
ওলা মাসুদ ও সুমনের দাবি- একদল সন্ত্রাসী এসে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা কারো উপর হামলা চালায়নি। প্রতিপক্ষরা প্রভাব বিস্তার করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও তিনি জানান।
আহত জাকির হোসেন রবিনের দাবি- ওয়ার্ড বিএনপি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে একটি মিছিল বের হলে ওলা মাসুদ ও শাহ নিজামের সমর্থক সুমন দলবল নিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলা চালায়। এতে তাদের প্রায় ২০ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। এরপর তারাই কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় তিনিও মামলা করবেন বলে জানান।
ফতুলস্না মডেল থানার ওসি সোলায়মান মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া দিয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।