কর্ণফুলী পেপার মিল
২৪ ঘণ্টার মধ্যে উৎপাদনে না গেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডের উৎপাদন চালু রাখা এবং উৎপাদনবিরোধী যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেপিএম উৎপাদনে না গেলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ)-এর আয়োজনে কেপিএম ১নং গেইট সংলগ্ন চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সর্বস্তরের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী অংশ নেন।
কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু সরোয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো. শহীদুলস্নাহ, মো. তারেক ও মো. জসিম, যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আজিজ ও মো. আলাউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনর রশীদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন কেপিএম'র এমডি ড. এম এ কাদেরের যড়যন্ত্রে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই কাগজ কলটির উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তিনি কেপিএম'র নিজস্ব পাল্প উৎপাদনও বন্ধ করেন। ফলে এতদিন বিদেশি পাল্প এনে মাঝেমধ্যে কখনো ৫ মেট্রিকটন, কখনোবা ১০ মেট্রিকটন উৎপাদন চালু রেখে কোনরকমে মিলটি নামমাত্র চলছিল। অথচ দৈনিক ১০০ মেট্রিকটন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই মিলটির এখনো ১নং ও ২নং পেপার মেশিনের ৭০-৮০ মেট্রিকটন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া মিলের ৩নং মেশিন কারিগরি ত্রম্নটির কারণে বন্ধ রয়েছে। অথচ উৎপাদন সক্ষমতা থাকার পরও ২০১৭ সাল থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মিলটি চলছে। উপরন্তু ২০২২ সালে কারখানায় বাজেট ও শ্রমিক-কর্মচারী কমিয়ে মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এখনো তৎকালীন এমডি এম এ কাদেরের দোসররা বহাল তবিয়তে থেকে যড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। এ অবস্থায় উৎপাদন চালু রাখার জন্য সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারীরা জোড় দাবি জানান।
যোগাযোগ করা হলে কেপিএম'র জিএম (উৎপাদন) মঈদুল ইসলাম বলেন, পাল্প সংকট এবং কারিগরি ত্রম্নটির কারণে বিগত দেড় মাস ধরে মিলে কোনো উৎপাদন হয়নি। তিনি আশা করছেন আগামী সপ্তাহে উৎপাদনে ফিরবে মিলটি।