দ্রম্নত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরোপয়েন্ট প্রাঙ্গণে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুলস্নাহ খালেদ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদের দোসর ভিসিদের পদত্যাগে বাধ্য করেছি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দিলেও দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো ভিসি নিয়োগ হয়নি। ক্যাম্পাসে কোনো প্রশাসন না থাকায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দিনেও নিরাপদ না রাতেও নিরাপদ না।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অভিভাবক পাচ্ছি না? আমরা কেন ভিসি পাচ্ছি না? লকডাউনে আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকারের জন্য আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন না দিয়ে কি আমাদের বাকি জীবন নষ্ট করতে চান? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে পারলে চবিতে কেন পারবেন না? আমরা আর রাস্তায় থাকতে চাই না, আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, আজ আমাদের এখানে অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল না, আপনারা সবাই জানেন গত ২ দিন আগে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে এক দফা দাবিতে ২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম যা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আবার জিরো পয়েন্ট মানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হয়েছে আর কোনো উপায় ছিল না। আমরা চাই ক্লাস রুমে ফিরে যেতে, আমরা চাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে, আমরা চাই দ্রম্নত সময়ের মধ্যে গ্রাজুয়েশন কমপিস্নট করতে কারণ বেকারত্বের অভিশাপ আর কেউ নিতে পারছে না।'
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী খেটেখাওয়া পরিবারের সন্তান, তারা জানে সংগ্রাম কী, প্রতিটি পরিবার তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে আছে। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আশা রেখেছিলাম এবং এখনো আশাবাদী, যেহেতু আমরা তাকে ভরসা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বানিয়েছি। আশা করি দ্রম্নত সময়ের মধ্যে আমাদের ভিসি নিয়োগ দেবেন।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারকে ২ দিনের আল্টিমেটাম দেন তারা।