রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজের মরদেহ বুধবার নগরীর নিউ জুম্মপাড়া কবরস্থানের কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহতের ৫৪ দিন পর এই লাশ উত্তোলন করা হয়। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ উত্তোলনের সময় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল ইসলামসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্য ছাড়াও নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত মেরাজুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মেরাজ (৩৫) নগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। মেরাজুল নগরীর সিটি বাজার এলাকায় ফল বিক্রি করতেন। তার তিন বছরের ছেলে হানিফ হোসেন ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন নাজিল।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সিটি বাজারে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে ময়না তদন্ত ছাড়াই তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট নিহতের সহধর্মিণী নাজমিম ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের নাম উলেস্নখ করে হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি আব্দুলস্নাহ আল মামুন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, আরিফুজ্জামান আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান, আবু আশরাফ সিদ্দিক, নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান, আব্দুর রশিদ প্রামাণিকসহ জেলা পুলিশের দেড়শ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।