সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গড়ে ওঠা দুটি করাতকলে বনের গাছ চিরাই করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকার কাঠ পাচার করা হচ্ছে। এসব কাঠ কর্ণফুলী নদীপথে অভিনব কায়দায় রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা, কোদালা, সরফভাটা, গোডাউন, বেতাগীসহ চট্টগ্রাম নগরীতে পাচার হয়।
জানা যায়, কাপ্তাই ও কর্ণফুলী রেঞ্জের বিভিন্ন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শত শত কাঠুরিয়া প্রবেশ করে গাছ উজাড় করছে। এসব মূল্যবান কাঠ বিভিন্ন চোরাইপথে এনে কাপ্তাই শিল্প এলাকায় গড়ে ওঠা দুটি করাতকল আশপাশের ফার্নিচারের দোকান ও লেকের ধারে মজুত করা হয়েছে। সুযোগ বুঝে দুটি করাতকলে কাঠ চিরাই করে অন্যত্র পাচার করছে। এরমধ্যে একটিরও বৈধ লাইসেন্স নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, কাপ্তাই শিল্প এলাকায় প্রতিটি করাতকলের পাশেই সেগুন, গামারি, আকাশি, কড়ই, গর্জনসহ বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ স্তূপাকারে জমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন করাতকল ব্যবসায়ী জানান, বন বিভাগকে ম্যানেজ করেই করাতকল পরিচালনা করায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন বনাঞ্চল উজাড় করে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রামপাহাড় বিট, চন্দ্রঘোনা বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি ও রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের চিড়িংগা বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি দিয়ে কর্ণফুলী নদীপথে বাঁশের চালি (বোম্বা বিশেষ কায়দায় বেঁধে) মূল্যবান কাঠ রাঙ্গুনিয়াসহ নিম্নাঞ্চল ভাটি এলাকায় পাচার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহি উদ্দিন চৌধুরী জানান, কাপ্তাইয়ের জাকির হোসেন করাতকলের লাইসেন্স ইসু্য থাকলেও বিধি না মানায় বাতিল হয়ে যায়। দুটি করাতকলের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। করাতকলের একজন মালিক আদালতের স্ট্রে অর্ডার এর মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।