সাতকানিয়ায় চলছে আউশ ধান কর্তনের মহোৎসব

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আমন ধানের চারা রোপণের পাশাপাশি চলছে আউশ ধান কর্তনের মহোৎসব। আউশ ধান কর্তন, মাড়াই ও ধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষক-কিষানিরা। উপজেলার খাগরিয়া, চরতী, কাঞ্চনা ও সোনাকানিয়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানি জমি থেকে নেমে যাওয়ার পরপরই আউশ ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। একদিকে চলছে ধান কর্তন, অপরদিকে চলছে মাড়াই ও ধান সংগ্রহের কাজ। আবার অনেক কৃষক আউশ ধান কর্তনের পর একই জমিতে আলু রোপণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এ অঞ্চলে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা আলু রোপণ শুরু করেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে ১২৮৫ হেক্টর আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৫ হেক্টর বেশি আউশ ধানের চাষাবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ৪২.৮ হেক্টর আউশ ধান অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৩৪৪ জন কৃষক ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, এ বছর ৮০ শতক জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছেন। শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো ছিল। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ শতক জমির আউশ ধান কাটা হয়েছে। বাকি ২০ শতক জমিতে এখনো পানি থাকায় কাটতে পারছেন না। চরতী ইউনিয়নের কৃষক জালাল আহমদ জানান, ফলন ভালো হলেও শ্রমিকের মজুরি বেশি। তাছাড়া জমির একাংশের ধান অতিবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবুও একই জমিতে আলুর আবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের আউশ চাষি ফজল করিম বলেন, চলতি বছর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ব্যয় কম হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষাবাদ করায় ফলনও ভালো পেয়েছেন। সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আউশ ধানের আশাতীত ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০% আউশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। তবে কর্তনের আগে অতিবৃষ্টির ফলে কিছু ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের লাভজনক ফসল চাষাবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।