গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর বালুরমাঠ এলাকায় জমজ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বন্ধুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পর দশতলা থেকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত সোমবার রাতে ঘটে। নিহত সাব্বির আহম্মেদ (২০) কুমিলস্নার চৌহালী থানার নবাববাড়ি এলাকার মোশারফ হোসেন লিটনের ছেলে ও স্থানীয় আব্দুলস্নাহ মডেল পাবলিক স্কুল অন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির স্বপরিবারে কালিয়াকৈরের আহম্মদ নগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সফিপুর বালুরমাঠ এলাকায় তার বন্ধু জমজ দুই ভাই রাকিব ও সাকিবের বাসায় যায়। দুই জমজ ভাই ওই এলাকার আ.রহিম মিয়ার ছেলে। এরপর বন্ধুরা মিলে ওই ভবনের দশ তলার ছাদে আড্ডা দিতে যায়। এ সময় রাকিব ও সাকিব মিলে সাব্বিরকে কুপিয়ে আহত করে। এরপর ১০তলার ওই ভবনের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। বিল্ডিংয়ের পাশে একজনকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যান এলাকাবাসী। পরে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও একটি হাতের আঙ্গুল কাটা দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কাটা আঙ্গুল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ভবনের ছাদে আড্ডার এক পর্যায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর তাকে দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয় ওই জমজ দুইভাই। এ ঘটনার পর ওই জমজ দুই রাকিব ও সাকিব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। নিহতের বড়ভাই মহিউদ্দিন আতিক বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন। মহিউদ্দিন আতিক বলেন, ওরা সবাই বন্ধু। এক সঙ্গে চলাচল করতো। কিন্তু সাব্বিরের সঙ্গে কি দ্বন্দ্ব ছিল, কি কারণে তাকে ওরা হত্যা করেছে সেটা এখনো জানা যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, সাব্বির হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করা যায়নি। হত্যাকান্ডের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।