রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কোনো দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ না করেও চাঁবিপ্রবির রেজিস্ট্রার তিনি!

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কোনো দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ না করেও চাঁবিপ্রবির রেজিস্ট্রার তিনি!

নিজে কোনো দিন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেননি, ছিলেন না শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কোনো দায়িত্বে! এরপরও উপাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পরিচালক অর্থ ও হিসাবের। তিনি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর (অব.) মো. আবদুল হাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। এরমধ্যে নূ্যনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ডেপুটি রেজিস্টার অথবা সমমর্যাদার কোনো পদে। আর এই ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয় একাডেমিক কিংবা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কাজের।

কিন্তু চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আবদুল হাইয়ের এসব অভিজ্ঞতার কোনোটিই নেই। এরপরও ভিসির পূর্ব পরিচিত এবং আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি বাগিয়ে নিয়েছেন এই পদ।

জানা যায়, কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ছাড়া এ পদে ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসে চুক্তিভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ পান তিনি। পরবর্তীতে পরিচালক অর্থ ও হিসাব পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পান। এরপর ধাপে ধাপে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে এখন পর্যন্ত এই পদে বহাল। এই পদে স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও সেই কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। একই সঙ্গে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের পরিচালক, অর্থ ও হিসাব পদটির নিয়োগ কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাছিম আখতার ও রেজিস্ট্রার আবদুল হাইয়ের বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তাদের পদত্যাগ দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে আর চাঁদপুর যাননি কেউই। তবে পদত্যাগও করেননি কেউ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

তার এমন বিতর্কিত নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা ছাড়া এই পদে কেউ নিয়োগ পেতে পারেন না। অন্যদিকে পরিচালক, অর্থ ও হিসাব পদের দায়িত্ব পালন করতে হলে তার অবশ্যই অর্থ ও হিসাব সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত দায়িত্ব তিন থেকে ছয় মাস পালন করা যায়।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর (অব.) আবদুল হাইকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে