কুমিলস্নার নাঙ্গলকোটে বন্যায় ভেসে গেছে গৃহবধূ রহিমার স্বপ্ন। সরেজমিন রোববার উপজেলার মৌকরা ইউপির গংগারচর গ্রামে এখনো রাস্তায় বাড়ির চারপাশে পানি, কাঁচা ভিটির ঘরগুলো নুয়ে পড়েছে।
কথা হয় গৃহবধূ রহিমার সঙ্গে। রহিমা বেগম (৪৭) ওই গ্রামের পেয়ার আহাম্মদের স্ত্রী। রহিমা ছাড়াও ওই গ্রামের এখনো ৫০ পরিবার পানিবন্দি। রহিমার মতো অনেক পরিবার বন্যায় সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
রহিমা বেগম বলেন, এ ধরনের বন্যা তার জীবনে দেখেননি। ঘরে সব ছিল। বন্যায় সব শেষ হয়ে গেছে। অসুস্থ স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। বন্যার পানি বাড়তে শুরু করলে স্বামী-সন্তানকে প্রথমে আশ্রয় কেন্দ্রে ও পরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তিনি থেকে যান নিজের তৈরি ঘরে তিল তিল করে গড়া সংসারে। একপর্যায়ে ঘরে পানি ঢুকলে ও খাটের উপর পানি উঠে গেলে ভাসুরের ছেলে উদ্ধার করেন তাকে।
১৬ দিন থাকার পর গত শুক্রবার এসে দেখেন রাস্তায় ও আঙিনায় এখনো পানি। ঘরের পানি নেমে গেছে। কিন্তু বন্যার পানির স্রোতে দুটি বসত ঘরের অনেকাংশের মাটি সরে গেছে। দুটি ঘরের বেড়া খুলে গেছে, ঘরগুলো হেলে গেছে, ঘরের সব মালামাল, চাল-ডাল নষ্ট হয়ে গেছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, 'বন্যায় যাদের ঘর ভেঙে গেছে তাদের আবেদন করতে বলেছি। এ ধরনের যারাই ক্ষতিগ্রস্ত আছে তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সরকারি বরাদ্দ এলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।