রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ!

পাবনা প্রতিনিধি
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ ও ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা -যাযাদি

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ঘরানার লোকজনের নিয়ন্ত্রণে থাকা পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ রয়েছে স্পিডবোট চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। দ্রম্নত সময়ে ঢাকায় যাতায়াতে স্পিডবোট জনপ্রিয় যাত্রীদের কাছে। ফলে বাধ্য হয়ে বর্তমানে লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচল করছেন তারা। তবে দ্রম্নত স্পিডবোট চালু করতে বিআইডাবিস্নউটিএ'র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৬ সালের দিকে এই নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। কাজিরহাট থেকে আরিচা নৌরুটের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই রুটে ৪টি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে সময় কম লাগায় রাজধানীতে যাতায়াতের জন্য স্পিডবোটই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই রুটের যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ এই রুটে স্পিডবোটে চলাচল করে। ঈদের সময় প্রতিদিন কমপক্ষে দশ হাজার যাত্রী এই রুটে স্পিডবোটে পারাপার হয়।

বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের লোকজনের মাধ্যমে স্পিডবোটগুলো পরিচালনা করতেন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের লোকজন। ফলে সেইদিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচল করছেন যাত্রীরা। তবে সময় বেশি লাগায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তারা। দাবি জানিয়েছেন দ্রম্নত স্পিডবোট চালু করার।

কাজিরহাট ঘাট পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে বেশ স্রোত। তার মধ্যেই আরিচার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ফেরি ও লঞ্চ। অনেকে ঘাটে এসে স্পিডবোট খুঁজছেন। যারা ফেরি বা লঞ্চে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তেমনি একজন বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'ঢাকায় চাকরি করি। মাসে এক-দুইবার বাড়ি আসা-যাওয়ায় স্পিডবোটেই যাতায়াত করি। এর কারণ সময় কম লাগে। আজকে ঘাটে এসে জানতে পারি স্পিডবোট চলাচল বন্ধ আছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে দ্রম্নত স্পিডবোট চালু করার দাবি জানাই।'

স্পিডবোট না পেয়ে লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'ব্যবসার প্রয়োজনে প্রায়ই ঢাকায় যেতে হয়। কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে দূরত্ব কম। দ্রম্নত ঢাকায় যাওয়া-আসা যায়। আর স্পিডবোটে দেখা যায় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ ফেরি বা লঞ্চে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এই দুর্ভোগ লাঘবে স্পিডবোট থাকলে সুবিধা হয়।'

বিআইডাবিস্নউটিএ'র নগরবাড়ী-কাজিরহাট-নরাদহ নদী বন্দরের পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল বলেন, 'আমরা স্পিডবোট মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। তারা আমাদের বারবার আশ্বস্ত করেও স্পিডবোট চালু করতে পারেননি। কর্তৃপক্ষের কাছে এই রুটে চলাচলকারী স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিল করে, নতুনভাবে পারমিট আহ্বান করার প্রস্তাব করেছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে