৯ মাস আগে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার জেরে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মিনহাজুল হক রুমন লোক লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার রাত পৌঁনে ৮টার দিকে লালন শাহ হলের ৪১৫নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত এনামুল হক ইমন আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত। এ সময় তার সঙ্গে আরেক ছাত্রদল কর্মী শ্রাবণসহ ১০-১২ জন ছিল বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত ইমনের ভাষ্য, ৯ মাস আগে রুমন তাকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছিল। সেসময় রুমন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থাকায় সে বিচার পায়নি। আর তাই প্রতিশোধ নিতে রুমনকে মারধর করেছে সে।
এদিকে আগে ক্যাম্পাসে থাকাকালীন ভুক্তভোগী রুমন শাখা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী ছিলেন।
জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে হল ছেড়েছেন মিনহাজুল হক রুমন। খুলনায় এক কাজের উদ্দেশে রওনা দিয়ে তিনি দুইদিন আগে থেকে ক্যাম্পাসের লালন শাহ হলের ৪১৫ নং রুমে অবস্থান করছিলেন। শনিবার সন্ধ্যার পর ইমনসহ দশ-বারোজন শিক্ষার্থী হঠাৎ তার রুমে এসে রুমনকে মারধর করে। এছাড়া তাকে (রোববার) মধ্যে হল ছাড়ারও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুমনসহ ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু হলে ইমনের রুমে (৩০৯) যায়। তবে ইমন বিষয়টি জানতে পেরে আগেই পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইমনের কক্ষে ঢুকে তার বিছানা ও জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেয়।
অভিযুক্ত এনামুল হক ইমন বলেন, '৯ মাস আগে আমাকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয় রুমন ভাই। তবে সেসময় সে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থাকায় আমি বিচার পাইনি। ছাত্রলীগের সভাপতির রুমে আমাকে আর আমার বাবাকে ডেকে হ্যান্ডশেক করিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম। এজন্য আমি বন্ধুদের নিয়ে ভাইয়ের রুমে আজকে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তাকে মারধর করি।'