গাইবান্ধা পৌরসভায় ১০ পরিবারের কাছে ২ লাখ মানুষ জিম্মি

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা পৌরসভা রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা সদর উপজেলার অন্তর্গত 'ক' শ্রেণির একটি পৌরসভা। এটির আয়তন ১০.৫৪ বর্গ কিলোমিটার। ১৯২৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গাইবান্ধা পৌরসভা গঠিত। পৌরসভায় চেয়ারম্যান/মেয়র পদে বিভিন্ন সময়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে অথবা দলীয় মনোনয়ন ছাড়া চেয়ারম্যান/মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু পৌরসভায় কাংখিত উন্নয়ন হয়নি। এখন পর্যন্ত পৌর হোল্ডিংধারী অনেকেই সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। সংস্কারের অভাবে রাস্তা-ঘাট খনাখন্দে ভরপুর। নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সেইসাথে পরিচ্ছন্নতার অভাবে রাস্তাঘাটগুলো ভাঁগাড়ে পরিণত হয়েছে। বর্জ্য ও ময়লা নিস্কাশন করে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বানিয়ারজান আলাই নদীর কোল ঘেঁষে একমাত্র ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হতো। কিন্তু ময়লার স্তুপ উপচে পড়ায় এলাকাবাসি বর্জ্য ফেলতে বাঁধা প্রদান করায় পৌর কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সুজা মিয়া বলেন, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে এই স্টেশনটি চালু হয়। কথা ছিল বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করে এলাকায় গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ, পার্ক তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে ডাম্পিং স্টেশনটি চালু করা হয়। পরবর্তীতে ওই প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বর্জ্য বাড়তেই থাকে এবং এলাকায় ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাবাসি বর্জ্য ফেলতে বাঁধা প্রদান করে। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বকর সিদ্দিক স্বপন বলেন, বর্জ্য রিসাইক্লিনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্জ্য ভরপুর হয়ে ওই এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং দুর্গন্ধে এলাকাবাসি অতিষ্ট। বর্জ্যগুলো দ্রম্নত অন্যত্র সরিয়ে ফেললে আবারো পৌরসভার বর্জ্য ফেলানোর বিষয়টি অব্যাহত রাখা যাবে। এলাকাবাসিকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পৌর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন বলেন, বর্জ্য অপসারণে কঠিন বিপদে আছি। ৭নং ওয়ার্ডে যে ডাম্পিং স্টেশনটি রয়েছে সেটি সরকারি সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও এলাকাবাসির বাঁধার কারণে বর্জ্য ফেলতে পারছি না। স্টেশনের আশেপাশে থাকা ১০টি পরিবার বর্জ্য ফেলতে বাঁধা দিচ্ছে। তাহলে বর্জ্য কোথায় ফেলছেন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, গভীর রাতে যেখানে সুযোগ হয়, সেখানে বর্জ্য ফেলছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সেখানেও নানাভাবে বাঁধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। সুখবর হলো ডাম্পিং স্টেশনটি আধুনিকায়নের জন্য ৮ কোটি টাকার প্রকল্প এসেছে। এই প্রকল্পটি চালু হলে এলাকাবাসির অভিযোগ থাকবে না। কিন্তু কোনভাবেই তাদেরকে বিষয়টি বোঝানো যাচ্ছে না। প্রকল্পটি চালু করতে না পারলে ওই টাকাগুলো ফেরত যাবে এবং পৌরবাসি এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।